বাংলাদেশের ১২টি জেলা বর্তমানে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে এ বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে, ৩৬ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বন্যার কারণে আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বন্যা পরিস্থিতি.
গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, কক্সবাজার, সিলেট, মৌলভীবাজার, এবং হবিগঞ্জ জেলায় আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ফেনী ও চট্টগ্রামের পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
বন্যার ফলে ফেনী, কুমিল্লা এবং সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বন্যায় রেললাইন তলিয়ে যাওয়ায় এবং বিভিন্ন স্থানে সড়কপথে পানি উঠে যাওয়ায় যান চলাচলও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বন্যাকবলিত এলাকার মানবিক সহায়তা.
বন্যার্তদের সহায়তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পাঁচটি জেলায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এখন পর্যন্ত সেনাবাহিনী প্রায় ৬ হাজার বন্যার্তকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে তাদের খাবার ও চিকিৎসা প্রদান করছে।
মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি.
বন্যার পানিতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কুমিল্লা, কক্সবাজার, ফেনী, এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। কুমিল্লায় একদিনেই ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে।
. যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত.
বন্যার কারণে ফেনী ও খাগড়াছড়ির প্রায় অর্ধেক মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে, ফলে এসব এলাকার মানুষ কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যাকবলিত এলাকার ২১ দশমিক ৬ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অচল হয়েছে।
অবনতিশীল পরিস্থিতি.
বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামীকাল থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমার সম্ভাবনা থাকলেও, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য তা যথেষ্ট নয়। সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
---
প্রতিদিন নিউজ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন. online news paper.
Bdnewstoday360
বাংলাদেশ, বন্যাকবলিত এলাকা, মৃত্যু, ত্রাণ কার্যক্রম।